কড়া নজর প্রতিবেদকঃ
ফেনী শহরের নাজির রোডে সোহেল-শিউলী দম্পতির দ্বন্দ্ব শুরু হয় পরকীয়া নিয়ে। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে শিউলীকে তালাক দেন সোহেল। ক্ষিপ্ত হয়ে বটি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে তাকে হত্যার পর দুই সন্তান নিয়ে গভীর রাতে পালিয়ে যান স্ত্রী শিউলী।
শনিবার (২১ আগস্ট) চৌদ্দগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতারের পর রোববার (২২ আগস্ট) সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে ফেনীস্থ র্যাব-৭-এর কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার আবদুল্লাহ আল জাবের ইমরান এ তথ্য জানান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৬ জুলাই সোহেল দেশে আসেন। এরপর থেকে তার স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে প্রায়ই কথাকাটাকাটি হয়। এর জেরে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোহেল মৌখিকভাবে শিউলীকে তালাক দেন। একপর্যায়ে খাটে বসা থাকা অবস্থায় পিছন দিক থেকে বটি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে স্বামীকে হত্যা করেন শিউলী।
তিনি আরো জানান, ঘটনার পর রাতেই দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ট্রেনে করে চট্টগ্রাম পালিয়ে যান শিউলী। অত:পর কুমিল্লায় চাচার বাসায় আত্মগোপন করেন। খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে র্যাবের একটি দল চৌদ্দগ্রাম এলাকায় তার চাচার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ফেনী ক্যাম্পে নিয়ে আসেন।
শিউলী চৌদ্দগ্রাম থানার খাজুরিয়া গ্রামের আবদুল মজিদের মেয়ে। সোহেল একই উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের খাটরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।