ফুডপয়জনিং হলে কি করবেন
ফুডপয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া হয়নি এমন লোক বা এমন পরিবার হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। সাধারণত বাইরের খাবার, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তৈরি না করা খাবার খাওয়া এবং জীবাণুযুক্ত খাবার, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার অথবা পচা-বাসি খাবার খেলে ফুডপয়জনিং হতে পারে। ফুডপয়জনিং হলে আক্রান্ত ব্যক্তি বা শিশুর পেটে ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা, সঙ্গে জ্বরও হতে পারে। ফুডপয়জনিং সমস্যার চিকিত্সা ও করণীয় সম্পর্কে বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ স্যার সলিমুল্ল¬াহ মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. অনুপকুমার শাহার অভিমত ঃ ফুডপয়জনিং হলে রোগীর উপসর্গ অনুযায়ী চিকিত্সা দেয়া হয়। অনেকক্ষেত্রে সাধারণ ডায়রিয়া ও ফুডপয়জনিং-এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেন না রোগীরা। ফুডপয়জনিং-এর রোগীদের সাধারণত পাতলা পায়খানা ও বমি হলে রোগীকে খাবার স্যালাইন খেতে দেয়া হয়। পাশাপাশি রোগীর অবস্থা অনুযায়ী জীবাণুনাশক বা এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ সেবনের প্রয়োজন পড়ে। এক্ষেত্রে সিপ্রোফ্লকাসিন দেয়া যেতে পারে। আর শিশুদের ক্ষেত্রে এজিথ্রোমাইসিন দিনে ১ বার তিন দিন দেয়া যায়। যেহেতু ফুডপয়জনিং জীবাণুদ্বারা সংক্রমিত হয় তাই এন্টিবায়োটিক ভালো কাজ করে। তবে চিকিত্সকের পরামর্শ ব্যতীত এন্টিবায়োটিক সেবন বাঞ্ছনীয় নয়। এছাড়া জ্বর থাকলে শুধু প্যারাসিটামল সেবন করা যায়। প্যারাসিটামল ভরাপেটে খেতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে যেকোন ভালো কোম্পানির প্যারাসিটামল বয়স অনুযায়ী দিতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে ফুডপয়জনিং-এর ক্ষেত্রে এন্টিস্পাসমোটিক জাতীয় ওষুধ সেবন করা যাবে না। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। আর যদি পাতলা পায়খানা, বমি নিয়ন্ত্রণে আনা না যায় তবে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। তিনি জানান, শিশুরা যাতে যত্রতত্র ফাস্টফুড, সফট ডিংকস, আইসক্রিম না খায় তার জন্য অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে।