কড়া নজর প্রতিবেদন ঃ
প্রবাদ আছে ‘গোঁফে যায় চেনা’। তবে, নামে কী মানুষ চেনা যায় ! যদি যেতোই সুশান্ত নামের লোক এত অশান্ত, এত উগ্র-রুদ্রমূর্তির কেন হবে! শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সুশান্ত কুমার সরকার নিজ কর্মস্থলের জ্যেষ্ঠ সহকর্মী প্রথম পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ডাঃ আলী হায়দার, মেডিসিন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডাঃ শেখ আব্দুল ফাত্তাহ’র সঙ্গে চরম অসদাচরণ করে নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছেন অনেক আগেই। সহকর্মীদের বাইরে অন্য পেশাজীবীরাও আছেন তাঁর হাতে অপদস্থের তালিকায়। যারা অন্যায়ভাবে লাঞ্ছিত তারা মানসম্মানের ভয়ে চেপে যান। ‘কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে ?’। অন্যায়কারী বুক আরেকটু ফুলিয়ে হাঁটেন। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ডাঃ সুশান্ত হাসপাতালের ২০ টি শয্যা নিজের একক দখলে রেখে আলোচনায় আসেন।
ডাঃ সুশান্ত’র ধরণ চেনার জন্য পৌণে দুই মিনিটের একটি ভিডিও ‘কড়া নজর’র পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে। ভিডিওটি ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর জনৈক কামরুল ইসলাম সোহেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। ঘটনাস্থল গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা। ডাঃ সুশান্ত তার ব্যক্তিগত গাড়িযোগে (ঢাকা মেট্টো গ-২২-৭১৮৯) উল্টো পথে ঢুকে পড়লে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট থামান। সার্জেটের অপরাধ (!) ওই টুকুই। তারপরের হব্যি-তব্যি একজন চিকিৎসক-শিক্ষক ডাঃ সুশান্তের। বেচারা সার্জেন্টের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। ভিডিওটির ভিউ ৬ লক্ষের উপরে, শেয়ার ২২ হাজার, কমেন্টস ৩ হাজার।
প্রতিটি ঘটনায় উতরে যাওয়া ডাঃ সুশান্ত এখন অপ্রতিরোধ্য।