কড়া নজর প্রতিবেদকঃ
তরুণ ডায়মন্ডের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ভিন্ন ধর্মাবলম্বী কিশোরী পপি মণ্ডলের (১৫)। প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় বিষ পানে আত্মহত্যা করে পপি। তবে এই সম্পর্ক ভাঙ্গনের পেছনে হাত ছিল ডায়মন্ডের বন্ধু আল আমিনের। তাই প্রেমিকার আত্মহত্যার প্রতিশোধ নিতেই বন্ধু আল আমিনকে খুন করেন ডায়মণ্ড।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ডায়মন্ডকে দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ডায়মন্ড এসব তথ্য দেন।
আজ বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।
তিনি বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ফেনী পৌরসভার পশ্চিম বিজয়সিংহ লুদ্দারপাড় গ্রামে একটি টিনশেড কলোনিতে আল আমিন নামে একজন যুবক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ঘটনার পর ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি। আল আমিন, তার বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন (২৭) ও আসামি মো. ডায়মন্ড (২৮) ওই টিনশেড কলোনির একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন। তারা তিনজনই নওগাঁ শহর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় হরেকরকমের জিনিসপত্র বিক্রি করতেন।
তদন্তে সিআইডি জানতে পারে, আসামি ডায়মন্ডের সঙ্গে নিজ গ্রামের পপি মণ্ডল নামে একটি তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যদিও সম্পর্কটি বেশিদিন টেকেনি। ভুল বোঝাবুঝির কারণে সম্পর্কটি ভেঙে যায়। এর কিছুদিন পর পপি বিষপানে আত্মহত্যা করে।
পপির আত্মহত্যার পর একদিন ডায়মন্ড জানতে পারেন, আল আমিন ইচ্ছা করে সুকৌশলে ডায়মন্ডের ফোন ব্যবহার করে পপিকে বলেছেন, ডায়মন্ড তাকে ভালবাসেন না। যার পরিপ্রেক্ষিতেই পপি আত্মহত্যা করে। এছাড়া ডায়মন্ড আরও জানতে পারেন, আল আমিন তার তিন সহযোগী- রুবেল, হাসিবুর ও আবু বক্করকে নিয়ে কিছুদিন আগে পপির ঘরে ঢুকে তাকে যৌন নিপীড়ন করেন।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ডায়মন্ড এসব ঘটনা জানতে পেরে আল আমিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে তিনি ছুরি নিয়ে আল আমিনের ওপর হামলা করেন এবং তার বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আল-আমিনের বড় ভাই তোফাজ্জলকেও ডায়মন্ড ছুরিকাঘাত করেন। তাদের চিৎকারে কলোনির অন্য বাসিন্দারা এগিয়ে এলে ডায়মন্ড পালিয়ে যান।