শেরপুরের শ্রীবরদীতে ধান বোঝাই ট্রলির সাথে ধাক্কা খেয়ে সুবাইতা (৯) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন তার বাবা শহিদুর রহমান (৩৮), মা সুলতানা বেগম (৩২) ও ভাই সিয়াম (৪)।
এই দুর্ঘটনা শনিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে সদর উপজেলার শেরপুর-ঝগড়ার চর সড়কের চরহাবর এলাকায় ঘটে। হতাহতদের বাড়ি জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলায়।
স্থানীয়রা জানান, শহিদুর রহমান শনিবার ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি ইসলামপুরের উদ্দেশে পরিবার নিয়ে মোটরসাইকেলে কিশোরগঞ্জ শহর থেকে রওনা দেন। বিকেলে শেরপুর ঝগড়ার চর সড়কের চরহাবর এলাকায় ধান বোঝাই ট্রলি ধাক্কা দেয়। এতে ধান বোঝাই ট্রলির নিচে পড়ে শহিদুল রহমানের মেয়ে সুবাইতা মারা যায়। স্থানীয়রা ট্রলি আটক করলেও চালক পলাতক রয়েছে।
বিয়ের একদিন পর ট্রাকচাপায় শিক্ষকের মৃত্যু
বিয়ের ঠিক একদিন পর ট্রাকচাপায় প্রাণ হারিয়েছেন নাটোরের এক শিক্ষক। নিহত শহিদুজ্জামান সুমন (৩৮) জেলার বাগাতিপাড়ার কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তার বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার উত্তর বনকাজল গ্রামে। উক্ত ঘটনায় আহত হন সুমনের মামা শ্বশুর জাকির হোসেন (৪২)। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাইপাস মোড়ের তুহিন কাউন্টারের সামনে একটি অজ্ঞাত ট্রাক তাদেরকে চাপা দেয়।
জাকির হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন বাসায় বিয়ে হয় শিক্ষক সুমনের। তার স্ত্রীর বাড়ি বাউফলের দশমিনা এলাকায়। শনিবার রাতে শ্বশুর-শাশুড়িকে বরিশালগামী বাসে তুলে দিয়ে বাসার দিকে ফিরছিলেন। কাউন্টার থেকে বেরিয়ে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটার সময় স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন তিনি। তখন পেছন দিক থেকে কুষ্টিয়াগামী একটি অজ্ঞাত ট্রাক তাদের দুজনকে ধাক্কা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই সুমনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন জাকির।