কড়া নজর প্রতিবেদকঃ
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর পল্টন ও রমনা এলাকা থেকে নারী পাচারকারী জনশক্তি রপ্তানিকারক একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকারির প্রলোভন দেখিয়ে জনগণের সরলতার সুযোগ নিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, ইফতি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক রুবেল, আল-জাহাঙ্গীর এস্টাবলিশমেন্ট নামের আরেক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মোবারক এবং তাদের সহযোগী আক্কাস ব্যাপারী ও তাহের।
সৌদি আরবে পাচারের পর টানা দু’দিন না খেয়ে থাকার কথা জানিয়ে মোবাইল ফোনে স্বামীকে বার্তা পাঠান এক নারী। সৌদি আরবে পাচারের শিকার এক ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-৩ এর একটি দল সোমবার পল্টন ও রমনা এলাকা থেকে একটি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার আক্কাস ব্যাপারী ভিকটিমের স্বামীর পূর্ব পরিচিত। তিনি পাচারের শিকার নারীকে মধ্যপ্রাচ্যে ২৫ হাজার টাকা বেতনে হাসপাতালে আয়ার চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোবারক ও তাহেরের কাছে নিয়ে যান। তারা ইফতি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক রুবেলের সহযোগিতায় রিক্রুটিং লাইসেন্স ব্যবহার করে ভিক্টিমকে এ বছরের জুনে সৌদি আরবে পাঠান। এরপর আসামিরা ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ রক্ষা করেননি। ভুক্তভোগী বিদেশে গিয়ে শারীরিক মানসিক নির্যাতনের শিকার হলে, স্বামীকে বিষয়টি জানান। তার স্বামীর মাধ্যমে পাচারে জড়িতরা নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পারলেও সমস্যার সমাধানে কোনও পদক্ষেপ নেননি।
পরে ভুক্তভোগীর স্বামী জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে ওই নারীকে উদ্ধারের জন্য আর্জি জানান। তবে অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য পাচারকারীরা ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান এবং পাচারের শিকার নারীকে দেশে ফিরিয়ে আনার খরচ বাবদ চার লাখ টাকা দাবি করেন।
এ প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী নিরুপায় হয়ে স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য গত সপ্তাহে র্যাবের কাছে অভিযোগ করেন এবং পাচারে জড়িতদের নামে পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে ওই চার জনকে গ্রেপ্তারর করে র্যাব।