টিকা নিয়ে রাজনীতি ; পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে ভীতি
আজ আসছে ভারতের উপহার ২০ লাখ ভ্যাকসিন
কড়া নজর প্রতিবেদন –
করোনা ভাইরাস এ্খন রাজনীতির জনপ্রিয় উপাদান। বৈশি^ক মহামারি করোনা নিয়ে ভীতি কমে যাওয়ায়, এখন এ নিয়ে হীন রাজনীতি শুরু হয়েছে। সপ্তাহকাল আগে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাচ্ছে না বলে খবর বের হয়। সেদিন দেশজুড়ে হাহাকার, ভীতি, সর্বোচ্চ পর্যায়ের কূটনীতি জাগ্রত হয়ে ওঠে। একদিনে আঁধার কাটলেও , প্রায় সব দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় সমস্বরে জানায় , ঠিক কবে নাগাদ বাংলাদেম প্রথম ভ্যাকসিন পাবে তা অনিশ্চিত। এর নিয়ে জল্পনা-কল্পনা মিইয়ে যাবার আগেই সোমবার খবর হয় আজ ভারত উপহার হিসাবে বাংলাদেশকে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দিচ্ছে। এটি স্রেফ শুভেচ্ছা, সব হিসেবের বাইরে –নিতান্তই উপহার।
ভীতি আমদানি হচ্ছে !
সম্ভাব্য ডেটলাইন থেকে অনেকটা এগিয়ে বাংলাদেশে ২৬শে জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে টিকা গ্রহণে আগ্রহীদের রেজিস্ট্রেশন। এ প্রেক্ষাপটে হঠাৎ লাইম লাইটে এসেছে টিকার ঝুঁকি ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি। দু’দিন আগেও যারা টিকা দ্রুত পাওয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ ছিলেন তারাই হঠাৎ টিকা নিয়ে যেন আগ্রহ হারিয়ে ফেললেন। কারণ ততক্ষণে টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।
ভীতির উৎস কী ?
ভারতে ১৬ জানুয়ারি করোনাভাইরাসের টিকা দেবার কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর ১৯ তারিখ পর্যন্ত টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ছয়শ’ জনের মতো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থতার হার নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নেই। যদিও প্রায় সব টিকাতে ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক ঘটনা। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা এবং বমিভাব। যাদের জ্বর বা অ্যালার্জি আছে, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম কিম্বা যারা এমন কোন ওষুধ খাচ্ছেন যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রভাবিত করে তাদের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হয়।
তাই বলে টিকা নিব না ?
এব্যাপারে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের মোক্ষম কথা বলেছেন, ‘যে কোনো ভ্যাকসিনেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। সব ওষুধের প্রতিক্রিয়া থাকে। তারপরও আমরা ভ্যাকসিন নিচ্ছি দীর্ঘকাল যাবত। একটা মহামারি নির্মূল হতে ২০০ বছর পর্যন্ত সময় লাগে। বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে যুগের পর যুগ গবেষণা করে একটি পারফেক্ট ভ্যাকসিন তৈরি সম্ভব হয়। এসব নিয়ে উৎকন্ঠা ছড়ানোর মানে নেই।
##