কড়ানজর প্রতিবেদকঃ
গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী সকল শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণার পর থেকেই মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ। যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে এ নৌ-রুটে চলছে ছোট বড় ৮ টি ফেরি। কিন্তু গনপরিবহন বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে অসহনীয় ভোগান্তিতে।
শনিবার (৩১ জুলাই) ভোর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে দেখা যায় ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। তোয়াক্কা করা হচ্ছে না কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধির।
গত ২৩ জুলাই আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে শিল্প-কারখানা, গার্মেন্টসসহ সকল ধরণের প্রতিষ্ঠান, গনপরিবহন ও বিনা কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ৩০ জুলাই রপ্তানিমুখী সব শিল্পকারখানা আগামী রবিবার (১ আগস্ট) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। হঠাৎ এ সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর শিল্প কারখানা খোলার কথা থাকলেও হঠাৎ করে বলছে রবিবার থেকে খোলা। কিন্তু গনপরিবহন, লঞ্চ সব বন্ধ। এখন এই একদিনের সময়ে দূর-দূরান্তে থাকা শ্রমিকরা কিভাবে আসবে?
ঢাকা তেজগাঁয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরী করেন মোহাম্মদ আফজাল হোসেন। ৫ আগস্ট পর্যন্ত কর্মস্থল বন্ধ থাকায় ফেরার তেমন কোনো ব্যবস্থা ছাড়াই ছেলেমেয়ে নিয়ে ঈদ করতে সাতক্ষীরা শ্বশুর বাড়িতে যান। এদিকে গতকাল রাতে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ক্ষুদে বার্তায় রবিবারের মধ্যে কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ পাঠানো হলে ভোর সাড়ে ৪ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে।
আফজাল হোসেন বলেন, “গনপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেক কষ্টে ভেঙে ভেঙে বাংলাবাজার দিয়ে শিমুলিয়া এসেছি। এখন ঢাকায় যাওয়ার জন্য গাড়ি পেলে হয়।”
স্বাস্থ্যবিধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি কোথা থেকে মানবো। দাঁড়ানোর জায়গা নেই। কোনোরকম দুই মেয়েকে কোলে নিয়ে ফেরি পার হলাম। স্বাস্থ্য থেকে চাকরী বাঁচানো জরুরী হয়ে পড়েছে।”
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মো. জাকির হোসেন বলেন, “অন্যান্য দিনের তুলনায় ঘাটে পরিবহন ও যাত্রী চাপ বেশি। যাত্রী,পরিবহন উঠানামায় কিছুটা যানজট হচ্ছে তবে বেশি না।”