কড়ানজর প্রতিবেদক
গাজীপুরের কালীগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণীর কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী অপহরণের ৪ মাস অতিবাহিত হলেও মামলা নিতে নানা গড়িমসি করছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ বলে অভিযোগ বাদীসহ তার পরিবারের লোকজনের। অপহৃত শিশু আফিয়া ওরফে সাথী কালীগঞ্জের বরাইদ এলাকার সৌদি প্রবাসী আমজাত হোসেনের মেয়ে। সে বরাইদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।
উক্ত ঘটনাটি ঘটেছে মোক্তারপুর ইউনিয়নের সাওরাইদ নীরব রাস্তায়।
এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা তাছলিমা আক্তার বাদী হয়ে গত চার মাস পূর্বে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অদ্যবদি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে ভিকটিমের মায়ের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালীগঞ্জ-কাপাসিয়া সার্কেল) ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসিএকে এম মিজানুল হক বলেন, বিষয়টি দেখছি। এসআই শামীমের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
অভিযোগ উঠেছে, থানায় অভিযোগ দায়েরের ৪ মাস অতিক্রম হয়ে গেলেও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীম আসামীদের সঙ্গে আতাত করে মোটা অঙ্কের টাকা খেয়ে উক্ত অভিযোগ আমলে নেয়নি। এমনকি আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে বীরদর্পে ঘুরাঘুরি করলেও তারা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অন্যদিকে আসামী পক্ষের লোকজন উক্ত অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। এমনকি পায়ের রগ টাকাসহ হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে আসামীদের বিরুদ্ধে।
ভিকটিমের মা জানান, ৭ এপ্রিল সকালে আমার মেয়ে বাড়ি থেকে সাওরাইদ সরকারি প্রাক বিদ্যালয়ে থেকে ছাড়পত্র আনার জন্য গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে মেয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় আমরা আত্মীয়স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকি।
পরে লোকমারফত জানতে পারি জামালপুর বালুয়াভিটা এলাকার সাইফুলের ছেলে লরিচালক ইউনুস তার সহযোগীদের নিয়ে আমার মেয়েকে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়। পরে থানায় অভিযোগের ৪ মাস পার হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ আসামি ধরাতো দূরের কথা মামলাই আমলে নেয়নি।
তিনি আরও জানান, আসামি ধরার কথা বলে আমার কাছ থেকে এসআই শামীম ১৫-১৬ হাজার টাকা নিয়েও আসামিদের ধরছে না।