কড়ানজর প্রতিবেদকঃ
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের শর্তসাপেক্ষে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রবিবার (৮ আগস্ট) টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের শর্তসাপেক্ষে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. টিকা গ্রহণের দিন গর্ভবতী নারী অসুস্থ থাকলে তাকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া যাবে না।
২. দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত নারীকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া যাবে না।
৩. কোনও গর্ভবতী নারীর ভ্যাকসিন অ্যালার্জির পূর্ব ইতিহাস থাকলে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া যাবে না।
৪. কোনও গর্ভবতী নারী যদি কোভিড টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর এইএফআই কেস হিসেবে শনাক্ত হন তাহলে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা যাবে না।
৫. এছাড়া টিকাগ্রহীতা/আইনানুগ অভিভাবক ও কাউন্সেলিং চিকিৎসকের স্বাক্ষর ব্যতীত টিকা প্রদান করা যাবে না।
কাউন্সেলিং–
গর্ভবতী নারীকে টিকা দেয়ার পূর্বে অবশ্যই নিচে উল্লেখিত তথ্যাদি একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসককে জানাতে হবে।
১. নির্ধারিত সময়ের আগেই সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
২. নবজাতকের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৩. ৩৫ বছরের বেশি বয়সের গর্ভবতী, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ বিএমআই সম্পন্ন, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত নারী করোনা আক্রান্ত হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর–
ওপরে উল্লেখিত নির্দেশনাগুলো সম্পন্ন করার পর সম্মতিপত্রে গর্ভবতী নারী ও কাউন্সিলরের স্বাক্ষর নিয়ে টিকা দিতে হবে।