কৃতজ্ঞতা

আমাদের পরিবারের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ের সময় যারা কাছে থেকে, মুঠোফোনে-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের শক্তি-সাহস জুগিয়েছেন তাদের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম দুঃসংবাদটি আসে আমাদের একমাত্র মামা ( আ , ক , ম মোজাম্মেল হক ) ও মামী-র করোনা ভাইরাস পজিটিভ। পরদিন শনিবার সকাল ১০ টার দিকে বাবা হাজি আব্দুস সালাম ( ৯০) আচমকাই আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ( ইন্নালিল্লাহি ..রাজিউন )। আমৃত্যু প্রচন্ড কর্মস্পৃহা ছিল বাবার। শিক্ষা জীবন শেষে নিজ এলাকার ভাওয়াল মির্জাপুর হাজী জমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি একক প্রচেষ্টায় আঙ্গুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন – যাতে আশপাশের ৪/৫ গ্রামের শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়। পাকিস্তানি শাসনামলে আশপাশে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল না। নিজ গ্রাম তালতৈলে প্রতিষ্ঠা করেন একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা।
মানুষের প্রতি তাঁর ভালবাসার প্রতিদানও দিয়েছে এলাকাবাসী। মরহুমের মরদেহ দুপুরে তাঁর প্রতিষ্ঠিত মসজিদ আঙ্গিনায় আনা হলে প্রচন্ড প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয় তাঁরই প্রতিষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। কাদা-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হাজারো মানুষ জানাযায় অংশ নিয়ে তাঁর বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করেন। এলাকাবাসীর ভালবাসা, আমাদের পরিবারকে সারাজীবনের জন্য কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করেছে।
বাদ আসর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে মরহুমের দুই দফা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে নগর পিতা জাহাঙ্গীর আলমসহ বিপুল সংখ্যক লোক, সংবাদ-কর্মী অংশ নেন। সকলের প্রতি জানাই গভীর কৃতজ্ঞতা। পরে নগর গোরস্থানে মায়ের কবরে মরহুম পিতা আব্দুস সালামকে শায়িত করা হয়।
কৃতজ্ঞতায় – পরিবারের পক্ষে মরহুমের ৪ ছেলে ৩ মেয়ে।