কড়ানজর প্রতিবেদকঃ
কুমিল্লার লালমাইয়ে আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বেলা সোয়া একটার দিকে একটি ঘর থেকে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন হায়াতুন্নবী শরিফ (২৮) ও ফয়েজ আহমেদ (২০)। উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের হাসান আহমেদের ঘর থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। শরিফের লাশ ঘরের আড়ায় ঝুলে ছিল এবং ফয়েজের মরদেহ খাটের ওপর ছিল। ফয়েজের গলায় জখমের চিহ্নও রয়েছে।
এ ঘটনায় শরিফের বাবা বাদী হয়ে লালমাই থানায় হত্যা মামলা করেছেন। বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে লাশ দুটি লালমাই থানায় নেওয়া হয়। পুলিশ সন্ধ্যায় লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লালমাই উপজেলার ইছাপুরা গ্রামে হাসান আহমেদের ছেলে হায়াতুন্নবী শরিফের বাড়ী থেকে ১৫০ গজ দূরেই মুদিদোকান আছে। ওই দোকানের কর্মচারী একই গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে ফয়েজ আহমেদ। গতকাল সোমবার (২৬ জুলাই) হাসান আহমেদ লালমাই উপজেলার জাফরগঞ্জ গ্রামে তাঁর এক মেয়ের বাড়িতে সস্ত্রীক বেড়াতে যান। এরপর রাতে দোকান বন্ধ করে ঘরের দক্ষিণ পাশের একটি কক্ষে দরজা লাগিয়ে শরিফ ও ফয়েজ ঘুমিয়ে পড়েন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসান আহমেদ বাড়ি এসে দেখেন ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। দোকানও বন্ধ। এরপর তিনি দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন, তাঁর ছেলে শরিফের লাশ ঝুলে আছে। আর দোকানের কর্মচারী ফয়েজের লাশ বিছানায় পড়ে আছে।
শরিফের বাবা হাসান আহমেদ বলেন, ‘শরিফ ও ফয়েজকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’ ফয়েজের বাবা আবুল হাশেম বলেন, ‘আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করা হোক।’
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ফয়েজকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর গলায় জখম আকারে ছোট ছোট খামচির দাগ রয়েছে। আর শরিফের লাশ ছিল ঝোলানো। যেহেতু ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। সে কারণে তদন্তের আগে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।