কড়া নজর প্রতিবেদনঃ
সাবেক ফারমার্স ব্যাংক তথা বর্তমান পদ্মা ব্যাংক থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে আদালত এ ব্যাপারে অভিযোগ গঠন করেছেন এবং এই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু করার আদেশ দিয়েছেন।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আজ বৃহস্পতিবার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন সম্পন্ন করেন। সেই সঙ্গে এসকে সিনহাসহ পলাতক ৮ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রধান বিচারপতিকে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত করা হলো এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলো।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ৪ কোটি টাকা ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে তা একই দিন পে-অর্ডারের মাধ্যমে এসকে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেন। এরপর ২০১৬ সালের নবেম্বর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসকে সিনহা নগদ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা সরিয়ে নিয়ে তা আত্মসাৎ করেন।
বিচারপতি সিনহা বাদে মামলার অপর আসামিরা হলেন ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী, সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।
বিচারপতি সিনহা গত দুই বছর ধরে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। আসামিদের মধ্যে কেবল বাবুল চিশতী অন্য মামলায় কারাগারে আছেন। ঋণ জালিয়াতির এই মামলায় এখনও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি বলে আদালত তার বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে। রীতি অনুযায়ী তা এখন হাজতি পরোয়ানা হিসেবে গণ্য হবে।
এর আগে ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি ২৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। গত বছরের ১০ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।