আড়তে পেঁয়াজ ১৬-২২ টাকা – খুচরা দাম কেজি প্রতি ২৫-৩০ টাকা

কড়া নজর প্রতিবেদনঃ করোনাকালের কোরবানির বাজারে পেঁয়াজ, রসুন, আদার দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম – খাতুনগঞ্জের আড়তদারেরা।
চট্টগ্রামের পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস জানান, ভারতের নাসিক ও ইন্দুরি পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো। পাশাপাশি পাবনার হালি পেঁয়াজও আছে আড়তে। তবে রাজশাহীর তাহেরপুরি পেঁয়াজ চট্টগ্রামের বাজারে আসেনি। আশা করছি এবার কোরবানিতে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল থাকবে।
মেসার্স কামাল উদ্দিন অ্যান্ড ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপক কড়া নজরকে জানান, সবচেয়ে ভালো মানের ভারতীয় পেঁয়াজ ২১-২২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া নিম্নমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা।
দেশি পেঁয়াজের ঝাঁজ যেমন বেশি তেমনি মানও ভালো। মূলত বিরিয়ানি, চাইনিজ রান্না আর উত্তরবঙ্গের লোকজনের কাছে এ পেঁয়াজের কদর বেশি। আড়তে প্রতিকেজির দাম ৪২-৪৩ টাকা। চট্টগ্রামের বাজারে ভারতের পেঁয়াজই বেশি চলে।
কিছুদিন পূর্বে- বন্দরে নিলাম হওয়া হল্যান্ডের কিছু পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জে এসেছে। এসব পেঁয়াজ বিক্রিই হচ্ছে না।
এদিকে – ভালো মানের চীনা আদা ১০৫ টাকা, চীনা রসুন ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে। নিম্নমানের আদা ৫৫ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। পচনশীল পণ্য হওয়ায় একটু দাগ লাগলেই দাম কমে যায়।
অপরদিকে দেশের বিভিন্ন শহর -নগরের অলিগলিতে ভাসমান বিক্রেতা ও রিকশাভ্যানে খুচরায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৮ টাকা। মুদির দোকানে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৮-৩০ টাকা।
পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম সহনীয় থাকলেও কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী কামরুন নাহার শম্পা।
তিনি বলেন, কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে কোনো পণ্যের কৃত্রিম সংকট, মজুদদারির মাধ্যমে রাতারাতি দাম বাড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। পেঁয়াজ, রসুন ও আদা নিয়ে ভোক্তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকতে হবে।